আসসালামু আলাইকুম। আশা
করি ভাল আছেন।
MyformBD প্রথম
বিষয়ভিত্তীক পোষ্টে
আপনাকে সু-স্বাগতম। যেহেতু
এটা আমার প্রথম পোষ্ট তাই
ভূল ক্রটি ক্ষমা করবেন।
যেহেতু এটা প্রথম পোষ্ট তাই
আমরা শিক্ষামূলক পোষ্ট
দিয়েই শুরু করি। তাই আজকে
আপনাদের জন্য হাতের
লেখা সুন্দর করার ৭টি
জাদুকরী টেকনিক নিয়ে
হাজির হয়েছি।
এ বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ হাতে লেখা যদি সুন্দর
না থাকে তাহলে পরীক্ষা
কখনো ভালো নাম্বারের
আশা করা যায় না।যার
বাস্তব প্রমাণ আমি। কারন
আমার ক্লাস rool-1 হওয়ার
পরেও আমি পরীক্ষা
নাম্বার তেমন বেশি পাই
না.
যদিও ক্লাসে সবচেয়ে বেশি
নাম্বার আমারই থাকে।
তারপরও আমি এখন আগের
তুলনায় অনেক ভালো
নাম্বার পাই। এবং আগের
তুলনায় আমার হাতের লেখা
অনেক সুন্দর।
আজকে আমি আপনাদের
সাথে যে বিষয়গুলো নিয়ে
কথা বলবো সেগুলো অনুসরণ
করে আমি খুব তাড়াতাড়ি
আমার হাতের লেখার
পরিবর্তন করেছি।
আপনারাও চেষ্টা করেন
তাহলে আপনাদের হাতে
লেখা সুন্দর হয়ে যাবে ই।
নশাআল্লাহ।
আসলে,
প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই সময়ে
এসে আমরা কম্পিউটার আর
ট্যাবলেট জাতীয় স্মার্ট
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলোর
কাছে কৃতজ্ঞ। এর অনেকগুলো
কারণের মধ্যে একটা হল- এখন
‘সুন্দর হাতের লেখা’ নিয়ে
কিছুটা হলেও কম চিন্তা
করতে হয় আমাদের।
কিন্তু ‘সুন্দর হাতের লেখা’
বা ‘হাতের সুন্দর লেখা’ যাই
বলি না কেন এখনও একটি
অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ছোটবেলায় আদর্শ লিপিতে
আমরা পড়েছিলাম-
‘হস্তাক্ষর সুন্দর হইলে
পরীক্ষায় অধিক নম্বর
পাওয়া যা’। শুধু তা-ই নয়,
সুন্দর হাতের লেখা আপনার
ব্যক্তিত্বকে এক ভিন্ন
মাত্রা দান করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন
নামী-দামী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাতের
লেখার ক্লাস নেন হাতের
লেখা বিশেষজ্ঞ লরা হুপার।
বিজনেস ইনসাইডারসকে
দেয়া এক সাক্ষাৎকারে
তিনি হাতের লেখা সুন্দর
করার জন্য ৭টি পরামর্শ
দিয়েছেন।
১. সঠিক উপাদান নির্ধারণ
করা : লেখা শুরু করার আগে
সেই জিনিসগুলো নির্বাচন
করুন যেগুলো ব্যবহার করে
আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ
করবেন। অনেকেই মনে করে
থাকেন সুন্দর হাতের লেখার
জন্য ‘ফাউন্টেন পেন’
অত্যাবশকীয়। আসলে এমন
কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
এমন একটি কলম বা পেন্সিল
বেছে নিন যা আপনার
আঙুলের সঙ্গে সহজে
মানিয়ে যাবে এবং লেখার
সময় কাগজের ওপর যাকে
জোরে চাপ দিতে হবে না।
আর কাগজ হিসেবে ‘নোটবুক’
জাতীয় লাইন টানা কাগজ
ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. হাত এবং কবজি নমনীয়
করা : ‘লেখা শুরুর আগে আমি
আমার হাত হালকা করে নিই
এবং কবজি দুটোকে হালকা
মুচড়ে নিই যাতে এগুলো
লেখার জন্য নমনীয় হয়’- হুপার
বলেন। ‘বিশেষ করে যদি
আপনি একটানা বেশ
কয়েকদিন ধরে না লিখেন
তাহলে অন্যান্য
মাংসপেশীর মতো কবজি
বা হাতেও একধরনের জড়তা
অনুভব করবেন।’
৩. অঙ্গবিন্যাস ঠিক করা :
সোজা হয়ে বসুন এবং আপনার
অনভ্যস্ত হাতটিকে (যেমন
ডানহাতিদের ক্ষেত্রে বাঁ
হাত) কাগজ বা খাতাটিকে
ধরে রাখার জন্য ব্যবহার
করুন। হুপার বলেন, ‘লেখার
সময় আমি আমার অনভ্যস্ত
হাতটিকে সামঞ্জস্য
রক্ষার্থে ব্যবহার করি। এটা
আমাকে স্থির থাকতে এবং
ডান হাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ
বাড়াতে সাহায্য করে।’
তবে এজন্য অবশ্যই চেয়ার-
টেবিল ব্যবহার করা উত্তম।
৪. কলম ধরা : কলম বা পেন্সিল
নিব এর কাছাকাছি ধরে
লিখুন, তবে শক্তভাবে ধরে
নয়। যদি নিবের
কাছাকাছি ধরে লিখতে
আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না
করেন, তাহলে দুশ্চিন্তার
কিছু নেই। কারণ কলম বা
পেন্সিল ধরার আসলে
নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই।
এটা সম্পূর্ণই আপনার হাতের
গড়নের ওপর নির্ভর করে।
৫. বাহু এবং কবজির অবস্থান :
বেশিরভাগ মানুষই লেখার
সময় শুধু আঙুল ব্যবহার করে
থাকেন। কিন্তু
হস্তাক্ষরবিদরা আঙুল দিয়ে
কলম-পেন্সিল আঁকড়ে ধরেন
মাত্র এবং লেখার সময়
নিজেদের বাহু এবং
কবজিকে সমান অবস্থানে
রেখে লিখে থাকেন। হুপার
বলেন, ‘এটি রপ্ত করার জন্য
আপনি একটি কলম ধরে
কল্পনায় (বাতাসের ওপরে)
বড় বড় অক্ষর লিখতে
পারেন।’
৬. তুলনামূলক ধীরগতি
অবলম্বন করা : বেশিরভাগ
মানুষের মধ্যে যত দ্রুত পারা
যায় লেখা শেষ করার একটা
প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
হুপার বলেন, ‘লেখা কোনো
দৌড় প্রতিযোগিতা নয়। কত
দ্রুত তা শেষ করবেন এটাকে
গুরুত্ব না দিয়ে, প্রতিটি
অক্ষর কিভাবে সুন্দর করবেন
সেটাকে গুরুত্ব দিন। একটু
ধীরে লিখুন এবং অক্ষরকে
তার শ্রেষ্ঠ চেহারায় রূপ
দিন।’ অক্ষরকে সুন্দরভাবে
রূপ দিতে প্রথমে বড় বড় করে
লেখার অভ্যাস করুন। ধীরে
ধীরে স্বাভাবিক লেখার
স্টাইল ছোট আকারে হ্রাস
করুন।
৭. অনুশীলন, অনুশীলন এবং
অনুশীলন : হাতের লেখা
ভালো করার জন্য
অনুশীলনের কোনো বিকল্প
নেই। উপরোক্ত নিয়মগুলো
মেনে আপনি যত বেশি
অনুশীলন করবেন ততই দক্ষতা
বাড়বে।
বিদ্র: কতৃপক্ষ এর কথা বিবেচনা করে নিচের এডস গুলোতে ক্লিক করবেন প্লিজ যার কারনে আমরা আপনাদের কে আরো নতুন ট্রিক দিতে পারি প্লিজ প্রথমে এখানে ক্লিক করুন তারপর এখানে ক্লিক করুন এবং এখানে ক্লিক করে শেষ করুন প্লিজ
No responses to হাতের লেখা ভালো করার ৭ টি কৌশল জেনে নিন
Be first Make acomment.